নতুন বছরে বাংলাদেশ অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) খ্রিষ্টীয় নববর্ষ-২০২২ উপলক্ষে এক বাণীতে এ আশাবাদ ব্যক্ত করার পাশাপাশি নতুন বছরে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, “অতীতকে পেছনে ফেলে সময়ের চিরায়ত আবর্তনে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ আমাদের মাঝে সমাগত। নতুনকে বরণ করা মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। তাইতো নববর্ষকে বরণ করতে বিশ্বব্যাপী বর্ণাঢ্য নানা আয়োজন। খ্রিষ্টীয় নববর্ষকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত গোটা দেশ। বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও ব্যবহারিক জীবনে খ্রিষ্টীয় বর্ষপঞ্জিকা বহুল ব্যবহৃত। খ্রিষ্টাব্দ তাই জাতীয় জীবনে প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে আছে।”
আবদুল হামিদ বলেন, “প্রতিবছর নববর্ষকে বরণ করতে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী বর্ণাঢ্য নানা আয়োজন করা হলেও করোনা মহামারির কারণে বিগত বছরের মতো এবারের উৎসবের আমেজও অনেকটাই ম্লান।”
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “দেশে করোনা সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে সতর্কতা প্রতিপালনের বিকল্প নেই।”
একজনের আনন্দ যেন অন্যদের বিষাদের কারণ না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নববর্ষ উদযাপনের আহ্বান জানান তিনি।
আবদুল হামিদ আরও বলেন, “নববর্ষ সবার মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ- খ্রিষ্টীয় নববর্ষে এ প্রত্যাশা করি।”
এছাড়া নতুন বছর সবার জীবনে অনাবিল আনন্দ ও কল্যাণ বয়ে আনবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।